থার্টি ফার্স্ট নাইটে স্বামীর সঙ্গে মদপান, ছাদ থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ থার্টি ফার্স্ট নাইটে স্বামীর সঙ্গে মদপান করে ছাদ থেকে থেকে পড়ে স্ত্রীর মারা গেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর থানা এলাকার পোদ্দারনগরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই তরুণীর নাম সুইটি সূত্রধর। এ ঘটনায় সুইটির স্বামী কুন্তল আচার্যকে জেরা করছে পুলিশ।

খবর পেয়ে পুলিশ বহুতলের দুটি ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে ওই তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, যাদবপুর পোদ্দারনগর এলাকার ২/২৪ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন কুন্তল এবং তার স্ত্রী সুইটি। মঙ্গলবার রাতে ওই বহুতলের পুরনো বাসিন্দারা মিলে ছাদে একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত মদ খাওয়া, হইহুল্লোড় চলে। তবে ওই পার্টিতে কুন্তল এবং সুইটি যোগ দেননি। পরে ছাদে গিয়ে নিজেদের দিকের অংশে মদ নিয়ে বসেন তারা। একটা সময় একে একে সবাই নেমে এলেও কুন্তল আর সুইটি সেখানেই ছিলেন।

বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মাঝেই একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন ভবনের বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশ এসে কাউকে খুঁজে পায়নি। পরে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বহুতলের ছাদ থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে সুইটির। তবে দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা, না কেউ ফেলে দিয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাতে কিছু অসঙ্গতিও মিলেছে। পুলিশের কাছে কুন্তকের দাবি, শরীর খারাপ লাগায় অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনিও নেমে আসেন।

বুধবার সকালে তরুণীর স্বামী কুন্তল পড়শিদের জানান, তিনি স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পরে যাদবপুর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। ছাদে গিয়ে দেখা যায় সেখানে দুই জোড়া জুতা ও কাচের গ্লাস পড়ে আছে। তার পাশেই রয়েছে ছোট্ট চৌবাচ্চার মতো ফাঁকা জায়গা। ওই ফাঁকা জায়গায় ঢোকার দরজার তালা খুলে পুলিশ দেখে, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুইটি। তাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ফরেন্সিক বিভাগ জানিয়েছে, ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার যে চিহ্নগুলো ঘটনাস্থলে মিলেছে, তাতে এটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর আগে ওই তরুণীর দেহে কোনো আঘাত হয়েছিল কিনা, সেটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যাবে।